Tuesday 2 December 2014

“শেল ইকো ম্যারাথন ২০১৫” প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী গাড়ি অভিযাত্রিকের “বিডি ৭১”



  জীবাশ্ম জ্বালানীর আন্তজাতিক উৎপাদক প্রতিষ্ঠান শেল কতৃক আয়োজিত ইকো কার বা পরিবেশ বান্ধব জ্বালানিসাশ্রয়ী গাড়ির নকশা তৈরী করে বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতাশেল ইকো-ম্যারাথন ২০১৫ এশিয়া মহাদেশীয় ইভেন্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেল বাংলাদেশী গাড়ি অভিযাত্রিকের বিডি ৭১ ফিলিপাইনের ম্যানিলায় আগামি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতা। ইভেন্টে নিজেদের গাড়ির মডেল নিয়ে অংশ গ্রহন করবে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা। বাংলাদেশের অভিযাত্রিক দলের সদস্যরা আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। দলের সদস্যরা হলেন-কে এম হাসান ইমাম শুভ, মিনহাজুল আবেদিন আবীর, তমাল পাল শাওন, আব্দুল্লা মুমিন চৌধুরী,আসিফ জাহিদুল হক এবং তৌহিদুর রহমান। দলটির উপদেষ্টা হিসাবে আছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক দেওয়ান হাসান আহমেদ এবং মোডারেটর হিসাবে আছেন শিক্ষক জুবায়ের হোসাইন। গাড়ির প্রসঙ্গে অভিযাত্রিকের সদস্যরা বলেন অটো মোবাইল বিশ্বে বাংলাদেশের নাম গৌরবময় স্বাধীনতাকে তুলে ধরতেই গাড়ির নাম রাখা হয়েছেবিডি ৭১ গাড়ির প্রচলিত সকল বৈশিষ্ট বিদ্যমান রয়েছে বিডি৭১রে। জ্বালানী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে পেট্রল। ১লিটার তেলে ৫০কিলোমিটারের বেশি চলতে সক্ষম বিডি৭১। গাড়ির সর্বশেষ সংস্করণের কাজ চলছে।সর্বশেষ সংস্করনে লিটারে যাতে প্রায় ১০০ কিঃমিঃ চলতে পারে সেই চেষ্টা চলছে। যা প্রচলিত যানের চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী হবে।গাড়িটি নকশা করার ক্ষেত্রে হাতের কাছে পাওয়া যায় সেই সব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে স্বল্পমূল্যে উৎপাদন করা যাবে। সর্বশেষ সংস্করণ বাণিজ্যিক ভাবে বাজারজাত করা হলে মাত্র থেকে লাক্ষ টাকার মধ্যেই বাজারজাত করা সম্ভব। (তথ্য সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক প্রথম আলো)।বর্তমানে প্রচলিত অধিকংশ গাড়িতে প্রচুর জ্বালানী খরচ হয় যা গ্রিন হাউস এফেক্টের অন্যতম কারণ। ইকো কার বা পরিবেশ বান্ধব গাড়ি জ্বলানী সাশ্রয় করে গ্রিন হাউস এফেক্ট থেকে কিছুটা হলেও বাঁচাতে সক্ষম।
Add caption