‘মাগুরা’ কিভাবে উৎপত্তি ? – জেনেনিন ঐতিহাসিক ৭ মতবাদ. নামকরন
আমরা মাগুরাবাসি, আর গর্ব করার জন্য ‘মাগুরা’ নামটাই যথেষ্ট, প্রয়োজন নেই কোনও গৌরচন্দ্রিকার। ‘মাগুরা’ নামকরণ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে। এই নামকরন নিয়ে ভ্রান্তি নিরসনে প্রচলিত তথ্যগুলো নিয়ে হাজির মাগুরা নিউজ। জানুন মাগুরা নামকরন নিয়ে ঐতিহাসিক ৭ মতবাদ।
-অন্যতম প্রচলিত যে, মাগুরার খাল বিলে এক কালে প্রচুর মাগুর মাছ পাওয়া যেত। আর সেই মাগুর মাছের প্রসিদ্ধি থেকে ‘‘মাগুরা’’ নামকরণ হয়েছে।প্রচলিত আছে মাগুরার নামকরণ করা হয় মুঘল যুগে।
-‘‘ খুলনা শহরের আদিপর্ব’’ গ্রন্থের লেখক ঐতিহাসিক আবুল কালাম সামসুদ্দিনের মতে, মরা গাঙ থেকে মাগুরা নামের উৎপত্তি। মরা গাঙ আঞ্চলিক ভাষায় মরগা বলে প্রচলিত।
– প্রচলিত আছে ধর্মদাস নামক জনৈক মগ জলদস্যু মাগুরার পার্শ্ববর্তী মধুমতি নদী সংলগ্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করে। মগদের অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ট হয়ে পড়ে এবং তারা বিতাড়িত হয়। সেই মগ ও মরগা থেকে ‘মাগুরা’ নামের উৎপত্তি।
-কিংবদন্তী থেকে জানা যায় এককালে সুন্দরবনের কাছাকাছি এই অঞ্চলে মগ জলদস্যুদের খুব উৎপাত ছিল। কুমার ও নবগঙ্গার তীরে অবস্থিত বর্তমান মাগুরা শহরে ছিল তাদের আখড়া। নদী পথে তারা বর্গীদের মতো দস্যুপনা করতো। তাদের নামেই মগরা থেকে মাগুরা হয়েছে।
-কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে মুঘল নবাব মুর্শিদকুলী খার আমলে মগদের অগ্রযাত্রাকে যেখানে প্রতিহত করে ঘুরিয়ে দেওয়া হত সেই স্থানটির নাম রাখা হত মগ-ঘুরা। মগ-ঘুরাই পরবর্তীতে মাগুরা হয়েছে। মাগুরা তথা যশোর ফরিদপুর এলাকায় মগ- দস্যুদের অত্যাচার ও লুষ্ঠনের কাহিনী আজও ইতিহাসের এক বেদনাময় অধ্যায়। ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে’ প্রচলিত এই ছড়াটিও সে সময়ের প্রকৃত চিত্রই তুলে ধরেছে।
– ঐতিহাসিকদের কারো মতে, মাগুরা প্রাচীন আমলের একটি গ্রাম। মাগুরা দু’টি অংশে বিভক্ত ছিল। মহকুমা সদরের পূর্বে মাগুরা ও পশ্চিমে ছিল দরি মাগুরা। দরি শব্দের অর্থ মাদুর বা সতরঞ্জি। দরি মাগুরায় মাদুর তৈরি সম্প্রদায়ের লোক বাস করতো বলে নাম হয়েছিল দরি মাগুরা।
– ধর্মদাস নামে জনৈক মগ আরাকান খেকে এসে আগুরা শহরের পূর্ভ কোণের সোজাসুজি গড়াই নদীর তীরে খুলুমবাড়ি মৌজা প্রভুতি দখল করে। লোকে তাকে মগ জায়গীর বলে আখ্যায়িত করেছিল। অনেকের মতে মগরা থেকে মাগুরা নামের উৎপত্তি।
No comments:
Post a Comment