Sunday, 23 October 2016

মাগুরা জেলার অনেক কৃতি সন্তান যারা মাগুরাকে সম্মানিত করেছে বিশ্ব দরবারে

মাগুরা জেলার অনেক কৃতি সন্তান যারা মাগুরাকে সম্মানিত করেছে বিশ্ব দরবারে

বাংলাদেশের অন্যতম উর্বর জেলা মাগুরা। এ জেলায় জন্মেছেন বাংলাদেশের অনেক কৃতি সন্তান যারা মাগুরাকে বিশ্বের দরবারে যেমন পরিচিত করেছেন, তেমনি বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচিত করেছেন। নিম্নে তেমনি কৃতি সন্তান সহ মাগুরার অন্যান্য কৃতি সন্তানদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো।
কবি- সাহিত্যিক, শিল্পী- লেখক ও শিক্ষাবিদ বৃন্দ
১. কবিরাজ গঙ্গাধর সেন রায় : জন্ম ১৭৯৮ খ্রীঃ মাগুরা সদর। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ৮০টি বই লিখেছেন। “জল্প কল্প তরু তাঁর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ”।২. যদুনাথ ভট্টাচার্য্য : বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক, জন্ম ১৮৫৬ খ্রীঃ শ্রীপুরে, মৃত্যু: ১৯২০ খ্রীঃ ১০ মার্চ। “রাজা সিতারাম রায়” তাঁর অন্যতম উপন্যাস।
৩. কবি মোহাম্মাদ গোলাম হোসেন : জন্ম ১৮৭৩ খ্রীঃ মহম্মদপুরের জোকা গ্রামে। মৃত্যু ১৯৬৪ খ্রীঃ ৫ এপ্রিল। বঙ্গদেশীয় হিন্দু মুসলমান” এবং “দিল্লী আগ্রা ভ্রমন’’ তাঁর আলোচিত গদ্য গ্রন্থ।
৪. ফনিভূষণ তর্কবাগীশ : জন্ম ১৮৭৬ খ্রীঃ ২৪ জানুয়ারী, শালীখার তালখড়ি গ্রামে। মৃত্যুঃ ১৯৪২ সালের ২৮ জানুয়ারী। তিনি প্রাবন্ধিক ছিলেন।
৫. ডাক্তার মোহাম্মাদ লুৎফর রহমান জন্ম : জন্ম ১৮৮৯ সালে মাগুরার পারনান্দুয়ালী গ্রামে মাতুলালয়ে। মৃত্যু ১৯৩৬ সালে। তিনি প্রাবন্ধীক ছিলেন। তাঁর রচিত উল্লেখ্যযোগ্য বই মহৎজীবন, উন্নত জীবন প্রভৃতি। তাঁর পৈত্তিক বাড়ী মাগুরার হাজীপুর গ্রামে।
৬. শেখ হববির রহমান : সাহিত্যরত্ন, জন্মঃ ১৮৯১ সালৈ শালিখার ঘোষগাতি গ্রামে। তিনি প্রায় ৩০ খানা বই রচনা করেন। আলমগীর, সুন্দরবনে ভ্রমণ কাহিনী তার আলোচিত গ্রন্থ।
৭. কবি আব্দুল জব্বার : জন্ম ১৮৯৮ সালে শ্রীপুরের নাকোল গ্রামে। মৃত্যু ১৯৭৭ সালের ২২ নভেম্বর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ গুল বাগিচা, গুলপসরা, ব্যাথার বীনা।
৮. কালাচাঁদ বয়াতী : জন্ম ১৮৯৪ সালে বাটাজোর গ্রামে। মৃত্যু  ১৯৭৪ সালে। তিনি কবিয়াল ও গায়েন ছিলেন।
৯. ভোলানাথ ভট্টাচার্য্য : জন্ম ১৮৯৫ সালের মহম্মদপুরের ন্‌ওহাটা গ্রামে। যাত্রা লেখক। ‘রাবন বধ’ তার অন্যতম নাটক।
১০. গোপালকৃষ্ণ সিকদার : জন্ম ১৮৯৫ সালে শালিখার মনোখালী গ্রামে। মৃত্যু : ১৯৬৫ সালে। কবি ও গীতিকার হিসেবে খ্যাত।
১১. কাজী ফখর উদ্দিন : জন্ম ১৯০০ সালে শ্রীপুরে খামার পাড়ায়। তিনি কবি ছিলেন। পড়ন্ত বেলা তাঁর কাব্য গ্রন্থ।
১২. মৌলভী মোহম্মদ ইসহাক : জন্ম ১৮৯৩ সালে শালিখা শরুশুনা গ্রামে। তিনি কবি ও প্রাবন্ধিক ছিলেন। তিনি মসনবী-এ-রুমীর বাংলা করেন।
১৩. তারাপদ রাহা : জন্ম ১৯ শতকের শেষ দিকে শ্রীপুরে শ্রীকোল গ্রামে। যোগীনীর মাছ ও বেনুমতী নদীর তীরে তাঁর প্রকাশিত উপন্যাস।
১৪. প্রবোধ চন্দ্র বাগচী : জন্ম ১৮৯৮ সালের ১৮ নভেম্বর শ্রীপুরের শ্রীকোল গ্রামে। মৃত্যু ১৯৫৬ সালের ২৯ জানুয়ারী। তিনি বিশিষ্ট উপন্যাসিক।
১৫. মুন্সী রইচ উদ্দিন : জন্ম ১৯০১ সালে শ্রীপুরের নাকোল গ্রামে। মৃত্যু ১৯৭৩ সালের ১১ এপ্রিল। যশস্বী সংগীত শিল্পী।
১৬. পৃথ্বিশ চন্দ্র ভট্টচার্য্য : জন্ম ১৯০৮ সালের ২৬ মার্চে মাগুরা শহরে। তিনি ঔপন্যাসিক ছিলেন।
১৭. কাজী কাদের নওয়াজ : জন্ম ১৯০৯ সালে মাতুলালয়ে মুর্শিদাবাদে। মৃত্যু ১৯৮৩ সালের ৩ জানুয়ারী। তিনি কবি ও উপন্যাসিক ছিলেন। তাঁর অন্যতম কাব্যগ্রন্থ নীল কুসুদী।
১৮. আব্দুর রহমান : জন্ম  ১৯১১ সালে সদরের আলেঅকদিয়া গ্রামে। মৃত্যু ১৯৭৫ সালে। তিনি কবিতা ও গান লিখতেন।
১৯. কবি ফররুখ আহমদ : জন্ম ১৯১৮ সালের ১০ জুন সদর থানার মাঝ আইল গ্রামে। মৃত্যু ১৯৭৯ সালের ১৯ অক্টোবর। তিনি ইসলামী রেনেসার কবি ছিলেন। সাত সাগরের  মাঝি, সিরাজুম মুনীরা, ইত্যাদি তাঁর অন্যতম কাব্য গ্রন্থ।
২০. সৈয়দ আলী আহসান : জন্ম ১৯২২ সালের ২৬ মার্চ সদরের আলোকদিয়া গ্রামে। মৃত্যু ২৫ জুলাই, ২০০২। কবি সাহিত্যিক, সমালোচক হিসেবে তিনি বাংলা সাহিত্যে অনন্য অবদান রেখেছেন। তিনি অসংখ্য বই রচনা করেছেন। তিনি জারি, রাবি ও দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য এবং মন্ত্রীর পযমর্যাদায় ১৯৭৭ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
২১. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন : জন্ম ১৯২০ সালের ১৪ জানুয়ারী সদরের আলোকদিয়া গ্রামে। মৃত্যু ১৯৯৫ সালের ১২ জানুয়ারী। তিনি ১৯৪২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বপ্রথম ইংরেজীতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি রা: বি: এর উপচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২২. সৈয়দ আলী আশরাফ : জন্ম ১৯২৪ সালে আলোকদিয়া গ্রামে। মৃত্যু ১৯৯৮ সালের ৭ আগস্ট। তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ব: এর অধ্যাপক, দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপচার্য এবং কবি ও গবেষক ছিলেন।
২৩. সৈয়দা সুফিয়া খাতুন : জন্ম ১৯২৭ সালে মাগুরা শহরে। সাহিত্যিক ও কবি হিসেবে খ্যাত।
২৪. ডঃ হাসান জামান : জন্ম ১৯২৮ সালের ১ জানুয়ারী ঝিনাইদহের  শৈলকুলুঙ্গা থানার কাচের খোল গ্রামে। বাড়ী শ্রীপুরের তারাউজিয়াল গ্রাম। মৃত্যু ১৯৮১ সালের ২৪ আগস্ট। তিনি বহু ইসলামী গবেষণা মূলক গ্রন্থ রচনা করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে বিতর্কিত হন।
২৫. শহীদ সাংবাদিক সিরাজ উদ্দীন হোসেন : জন্ম ১৯২৩ সালের ১ মার্চ শরুশুনা গ্রামে। ১৯৭১ সালে আলবদর বাহিনী কর্তৃক শহীদ হন। তিনি বহু প্রবন্ধ রচনা করেন এবং দৈনিক ইত্তেফাকের কার্যনির্বাহী সম্পাদক ছিলেন।
২৬. অধ্যাপক হাসান আব্দুল কাইয়ুম : জন্ম ১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল শ্রীপুরের দ্বারিয়াপুর গ্রামের প্রখ্যাত পীর পরিবারে। তিনি বিশিষ্ট কবি, লেখক, সমালোচক, ইসলামী চিন্তাবীদ ও টিভি ব্যক্তিত্ব হিসাবে খ্যাত। তিনি অসংখ্যা বই লিখেছেন এবং সম্পাদনা করেছেন। বর্তমানে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর পরিচালক।
২৭. কবি আজিজুল হক : জন্ম ১৯৩০ সালে শ্রীপুরের তারাউজিয়াল গ্রামে। মৃত্যু ২০০১ সালে। ঝিনুক মূহুর্ত সুর্যকে” তাঁর প্রথম বই।
২৮. মেল্লা এবাদত হোসেন : জন্ম ১৯৩০ সালের ১ মার্চ শ্রীপুরের সারঙ্গদিয়া গ্রাম। বাংলা সাহিত্যের উপর তাঁর বেশ কিছু বই আছে। মৃত্যু ২০০২ সালের ৪ মার্চ। চর্যা পরিচিতি, পদাবলী সমীক্ষা, আপনার চেয়ে আপন যেজন, তাঁর অন্যতম সেরা গ্রন্থ।
২৯. নিমাই ভট্টাচার্য্য : জন্ম ১৯৩১ সালের ১০ এপ্রিল শালিখার শুরুশুনা গ্রামে। বর্তমানে ভারত প্রবাসী নিমাই ভট্টাচার্য একজন ঔপন্যাসিক। মেম সাহেব তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
৩০. আব্দুল লতিফ আফি আনহু : জন্ম ১৯৩২ সালে শালিখার হরিশপুর গ্রামে। ১৯৭১ সালের ২০ জুন আতাতায়ীর গুলিতে শহীদ হন। তিনি একজন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ছিলেন। “গণমুক্তি” এবং জীবন মন পৃথিবী তাঁর প্রকাশিত গানের বই।
৩১. মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার : জন্ম ১৯৩৩ সালের ২ আগস্ট মহম্মদপুরের ডুমুরশিয়া গ্রামে। তিনি গল্প প্রবন্ধ ও নাটক লিখেছেন।
৩২. অধ্যাপক ডঃ রশীদুল আলম : ট্রিপল এম. এ। পি.এইচ.ডি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর উপর এবং লিট ব্যান্ড রাসেল এর উপর জন্ম ১৯৩৫ ১৯৩৫ সালের ২৭ জানুয়ারী মহম্মদপুরের ধোয়াইল গ্রামে। তিনি বাংলাদেশের একজন অন্যতম প্রধান দার্শনিক হিসেবে খ্যাত। দর্শন শাস্ত্র ও বাংলা সাহিত্যে তাঁর বেশ কিছু বই আছে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং বর্তমানে গণ-বিশ্ববিদ্যালয়ে, নীতিবোধ ও সমতা বিভাগের বিভাগী প্রধান হিসাবে কর্মরত আছেন।
৩৩. কামরুল মোহম্মদ মোশাররফ হোসেন : জন্ম ১৯৭৭ সালের ১৫ আগস্ট সদরের আরলিয়া গ্রামে। তিনি একজন ঔপন্যাসিক।
৩৪. শেখ শামছুর রহমান : জন্ম ১৯৩৫ সালে শালিখা থানার ঘোষগাতি গ্রামে। ৬০ এর দশকের পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষক সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
৩৫. মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম : জন্ম ১৯৪০ সালের ২ জানুয়ারী আলোকদিয়া গ্রামে। তিনি একজন ঔপন্যাসিক।
৩৬. কবিয়াল হাশেম আলী : জন্ম বাংলা ১৩৪৪ সালের ১৫ কার্তিক ফরিদপুরে। তিনি ১৩৫৮ সাল থেকে শালিখার কাতোলী গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। তিনি প্রায় ৪ শতাধিক গান রচনা করেছেন।
৩৭. শরীফ শাহ দেওয়ান : জন্ম ১৯৪৪ সালে শালিখার কোটবাগ বগুড়ায়। তিনি মূলত একজন কবি ও বাউল শিল্পী হিসেবে খ্যাত।
৩৮. আফসার উদ্দীন : জন্ম ১৯৪৫ সালে মহম্মদপুরের রায় পাশার চর গ্রামে। মৃত্যু ১৯৭৪ সালে। তিনি  একজন ঔপন্যাসিক।
৩৯. সেলিম আল হোসাইনী : জন্ম ১৯৪৫ সালের জুলাই মাসে সদরের ডাঙ্গা সিংড়া গ্রামে। তিনি এ.পি.পির বিশেষ সংবাদদাতা।
৪০. মোহাম্মদ বদরুল আমিন খান : জন্ম ১৯৪৭ সালের ৯ জানুয়ারী মুর্শিদাবাদে। পিতৃ নিবাস শ্রীপুর। কবি ও ঔপন্যাসিক।
৪১. আব্দুর রশিদ যশোরী : জন্ম ১৯৮৯ সালের ৯ জানুয়ারী মুর্শিদাবাদে। পিতৃ নিবাস শ্রীপুর। কবি ও উপন্যাসিক।
৪২. আবু সালেহ : জন্ম ১৯৫১ সালের ১৩ শ্রীপুরের দ্বারিয়াপুর গ্রামে। তিনি একজন বিশিষ্ট ছড়াকার ও সাংবাদিক হিসাবে খ্যাত।
৪৩. গোলাম মোস্তফা সিন্দাইন : জন্ম ১৯৫১ সালের ১ ডিসেম্বর মহম্মদপুরের সিন্দাইন গ্রামে। সাংবাদিক ও ঔপন্যাসিক।
৪৪. রশিদুন নবী : জন্ম ১৯৪৭ সালের ১ জানুয়ারী শালিখার দরিখাটোর গ্রামে। সংগীতের উপর তাঁর অনেক গবেষণামূলক গ্রন্থ আছে।
৪৫. কাজী মাহমুদুর রহমান : জন্ম ১৯৪২ সালে শ্রীপুরের বরিশাট গ্রামে। তিনি বহু নাটক ও গানের রচয়িতা। এছাড়া তিনি একজন অভিনেতা।
৪৬. জয়চাঁদ মন্ডল : জন্ম ১৮২৮ সালে শালিখার ধনেশ্বর গাতি গ্রামে। মৃত্যু ১৯০০ সালে। তিনি গাজীর গানের বয়াতী ও “কথক” হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৪৭. সুলতান আহমদ : জন্ম ১৯৩০ সালের ২১ ডিসেম্বর শ্রীপুরের মাঝআইলগ্রামে মাতুলালয়ে। পৈতৃক বাড়ী তারাউজিয়াল। বর্তমানে তিনি দৈনিক ইনকিলাব এর বার্তা সম্পাদক।
৪৮. মোহাম্মদ আফসার উদ্দীন : জন্ম ১৯৩০ সালের শ্রীপুরের আমলসার গ্রামে। কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার হিসেবে খ্যাত। চলন্ত পৃথিবী, হা.জ. ডায়রী তাঁর অন্যতম উপন্যাস।
৪৯. মহেন্দ্রনাথ গোস্বামী : জন্ম ১৯১২ সালে শালিখা গোয়ালখালী গ্রামে। মৃত্যু ১৯৮৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের নিয়মিত বাউল শিল্পী ছিলেন।
৫০. শেখ আবুল হোসেন : জন্ম ১৯০৫ সালে শালিখার গোয়াল খালী গ্রামে। তিনি একজন বাউল গীতিকার ছিলেন।
৫১. গৌরপদ সরকার : জন্ম ১৯৩৯ সালে শ্রীপুরের টিকার বিলা গ্রামে। তিনি কবিয়াল হিসাবে খ্যাত।
৫২. আমলা শংকর নন্দী : জন্ম ১৯১৩ সালে মাগুরার বাটাজোড়ের নন্দী পরিবারে। তিনি নৃত্য শিল্পী এবং নৃত্য সংগঠক ছিলেন। লেখিকা হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। উল্লেখ্য অমলাশঙ্কর বিশ্বখ্যাত নৃত্য শিল্পী উদয় শঙ্করের সহধর্মিনী।
৫৩. চিত্তরঞ্জন গোস্বামী : জন্ম- ১৯৪১ সালে মাগুরার রামনগর গ্রামে। তিনি একজন কবি ছিলেন। কাব্য নদীর তটে তাঁর প্রকাশিত কাব্য নদীর তটে তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
৫৪. সৈয়দা নাজমুন নেছা : জন্ম ১৯৩৪ সালে মাগুরা শহরে। তিনি একজন ঔপন্যাসিক এছাড়া তিনি কবিতা  ও প্রবন্ধ লেখেন।
৫৫. প্রফেসর ডা: মাজেদা খাতুন : জন্ম ১৯৪০ সালের ১৫ জানুয়ারী মাগুরা সদর থানায়। তাঁর গবেষনা গ্রন্থের নাম “বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন ও বাংলা কাব্যে তাঁর প্রভাব। তাঁর অন্যগ্রন্থ “দুঃসময়ের ডায়রী, এছাড়া বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তিনি ছাত্রী জীবন থেকে বহু ছোট গল্প ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।
৫৬. হাফিজুর রহমান : জন্ম- ১৯৩৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী মাগুরার মহম্মদপুর থানার ধোয়াইল গ্রামে মাতুলালয়ে। কন্ঠ শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার হাফিজুর রহমান প্রখ্যাত সঙ্গীত ওস্তাদ মুন্সী রইস উদ্দীন ও শ্রী জগদানন্দ বড়ুয়ার নিকট উচ্চাঙ্গ সংগীতের তালীম নেন। তিনি বেতার ও টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পী।
৫৭. আনোয়ারা খাতুন : জন্ম- ১৯৪১ সালের ৪ জানুয়ারী মাগুরার ভায়না গ্রামে। তিনি কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন। সাপ্তাহিক বেগমসহ অন্যান্য সংকলনে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
৫৮. আনিছা হাসেন : জন্ম- ১৯৪২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাগুরা শহরের ভাইনার মুন্সী পাড়ায়। তিনি একজন ঔপন্যাসিকা। “দুরের সংলাপ পারাবার” তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। তিনি বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।
৫৯. ডাঃ মোহাম্মদ নুরুল হুদা : জন্ম- ১৯২৩ সালে শ্রীপুরের তারাউজিয়াল গ্রামে। তিনি একজন প্রাবন্ধিক। ২০০০ সালের ১৮ জানুয়ারী নিজ বাড়ীতে তিনি ইন্তেকাল করেন।
৬০. অতুল প্রসাদ সরকার : জন্ম- ১৯৪৬ সালের শালিখার চতিয়া গ্রামে। তিনি যাত্রাপালার নাট্যকার অভিনেতা ও যাত্রাদল সংগঠক ছিলেন।
৬১. আকবর হোসেন মিয়া : জন্ম- শ্রীপুরের টুপিপাড়া গ্রামে। তিনি একজন মুক্তিযোদ্দা ছিলেন এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত বাহিনীর নাম আকবর বাহিন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপর রচিত তার বইয়ের নাম “মুক্তিযুদ্ধে আমি ও আমার বাহিনী”।
৬২. জামান আক্তার : জন্ম- ১৯৫৬ সালে মাগুরা শহরে। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ্য “উম্মোচন”।
৬৩. মাহবুবুল আলম : জন্ম ১৯৪৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী মাগুরা শহরে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান বিভাগের উপ-মহাপরিচালক ছিলেন। বর্তমানে তিনি দিগন্ত টেলিভিশনের প্রগ্রাম বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্মানে যথেষ্ট সনাম আর্জন করেছেন। তাঁর অসংখ্য রচিত গ্রন্থ রয়েছে।
৬৪. গোলাম মহম্মদ : জন্ম- ১৯৪৪ সালে মহম্মদপুর। তিনি একজন চিত্র শিল্পী। এছাড়া তিনি কবিতা  গান ও গল্প লেখেন। তাঁর লেখা বেশ কিছু গান অনুষ্ঠান প্রয়োজনীয় সুনাম অর্জন করেছেন। তাঁর অসংখ্য রচিত গ্রন্থ রয়েছে।
৬৫. নিশীকান্ত সরকার : জন্ম ১৯৫৭ সালে মহম্মদপুরের খাদুনা গ্রামে মাতুলালয়ে। তিনি একজন ঔপন্যাসিক ও কন্ঠ শিল্পী।
৬৬. আবু বাশার জাহাঙ্গীর : জন্ম ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপার গোপালপুর গ্রামে মাতুলালয়ে। তাঁর পৈত্রিক নিবাস মাগুরার ফুলবাড়ী লক্ষ্মী খোল গ্রামে। তিনি নাটক এবং গান লেখেন। এছাড়া কবিতা, গল্প প্রবন্ধ লেখেন।
৬৭. কাজী রবিউল ইসলাম : জন্ম ১৯৫৮ সালে মাগুরার নন্দলালপুর গ্রামে। তিনি গল্প কবিতা এবং গল্প ও উপন্যাস লেখেন। তাঁর রচিত “যাত্রানাট্য”, “স্বর্গের মেয়ে মালতী” এবং “তিল থেকে তাল”।
৬৮. বিজয় গোপাল : জন্ম- মহম্মদপুরে লাউপাড়া গ্রামে। তিনি গান রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর রচিত গানের বই গীতিগুচ্ছ, গীতিরুপা, গীতিবিথী এবং শুধু গান।
৬৯. আরিফ বিলা মিঠু : জন্ম ১৯৭০ সালের ২১ মার্চ। জন্ম- খড়কী শরীফে নানাবাড়ীতে। তিনি বিখ্যাত প্রাবন্ধিক ও ইসলামী চিন্তাবিদ অধ্যাপক হাসান আব্দুল কাইয়ুমের জৈষ্ঠ্য পুত্র। তিনি প্রখ্যাত ছড়াকার। “সং সেজে ঢং” তাঁর অন্যতম ছড়া গ্রন্থ। বর্তমানে আল- আরাফা ব্যাংকের অফিসার।
৭০. সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ : জন্ম মাগুরা, ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪, পুখরিয়া, আলোকদিয়া বাজার, জেলা মাগুরা। পেশা- লেখালেখি। প্রকাশিত গ্রন্থ- উপন্যাস এরই নাম প্রেম; মন ভালো নেই; হৃদয়ের কথা; ভালবাসা কারে কয়, প্রভৃতি।
৭১. ডাঃ মোঃ সালেক : (সাবেক অধ্যাপক) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। জাগলা, মাগুরা সদর।
৭২. ডঃ সৈয়দ আলী আফজাল : হরেকৃষ্ণপুর, মহম্মাদপুর, মাগুরা।
৭৩. শহীদ ডঃ আ.ন.ম. মনিরুজ্জামান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পরিসংখ্যান ব্যুরো- এর চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭১ খৃস্টাব্দে শহীন হন। গ্রাম- তারাউজিয়াল, শ্রীপুর, মাগুরা।
৭৪. প্রঃ মোঃ আলী নকী : আলোকদিয়া, মাগুরা সদর।
৭৫. ডঃ গোলাম রসুল : হরিন্দি, শ্রীপুর, মাগুরা। পরিচালক শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা ভবন।
৭৬. ডঃ মোতলেব হোসেন : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভারসিটি।
৭৭. শরিফা কবিরা : হাজিপুর, অধ্যাপক- ইভেন কলেজ।
৭৮. কাজী ফারুক ন্‌ওয়াজ : শ্রীপুর, মাগুরা। ছড়াকার।
৭৯. ডঃ মাহবুবুল হক সিদ্দিকী (মঞ্জু সিদ্দিকী) : বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। মাগুরা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান, মাগুরা সদর।
৮০. পি.এন. বাগচি : ভাষাবিদ, ষোলইনগর, শ্রীপুর।
৮১. কবি সুধীর কুমার ভট্টাচার্য : বরুনাতৈল, মাগুরা সদর। নজরুল স্মরণে কাব্যগ্রন্থ।
৮২. কবি আবু জুবায়ের : প্রাবন্ধিক ও ছড়াকার, দ্বারিয়াপুর, চৌগাছি।
৮৩. লোক কবি বিনোদ বিশ্বোস : তাঁর জন্ম তারিখ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় নি। তবে এগারশত শ্রীঃ শেষের দিকে তার জন্ম, শালিখার হুগড়া গ্রামে। পিতার নাম রহমত উল্লাহ বিশ্বাস।
৮৪. কাজী মাহবুবুর রহমান : জন্ম- বরিষাট গ্রাম, শ্রীপুর, মাগুরা। তিনি ইসলামী ছড়া প্রভৃতি কয়েকখানী কবিতার বই রচনা করেন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন
বিজ্ঞান চর্চায় মাগুরা
১. ডাঃ মোঃ গোলাম রব্বানী : জগদল, মাগুরা  সদর। সিনিয়র প্রকৌশলী ও বিজ্‌হানী, যুক্তরাষ্ট্র।২. দিদার ইসলাম :হাজীপুর, মাগুরা সদর। কুইক রেডিওর আবিস্কারক, ই.ই.ই. বুয়েট।
মুক্তিযুদ্ধে মাগুরা
১. জনাব মাসরুর- উল- হক সিদ্দিকী (কমল সিদ্দিকী) : বীর প্রতিক। মাগুরা সদর।২. জনাব সৈয়দ আসিরুজ্জামান : (অবঃ) সুবেদার, বীর বিক্রম। হরিন্দী, শ্রীপুর, মাগুরা।
৩. শহীদ মোতালেব বীর বিক্রম : পূর্ব শ্রীকোল, শ্রীপুর, মাগুরা।
৪. জনাব আকবর হোসেন মিয়া : খামার পাড়া, শ্রীপুর। আকবর বাহিনীর প্রধান।
৫. মরহুম গোলাম এয়াকুব মোল্লা : নারান্দীয়া, মহম্মদপুর, মাগুরা। বীর প্রতীক।
৬. জনাব লুৎফুন নাহার (হেলেন) : মাগুরা সদর। শহীদ।
৭. জনাব শহীদ সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী সিরাজ উদ্দীন হোসেন : শরুসুনা, শালিখা, মাগুরা।
৮. এ্যাড. জনাব নূরুল কাদির : মুজিব নগর সরকারের ভ্রাম্যমান রাষ্ট্রদুত। রাউতাড়া মাগুরা।
৯. মরহুম এ্যাডঃ জনাব আবুল কায়ের : বেলনগর, মাগুরা সদর।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে মাগুরা
১. বনানী চৌধুরী : সোনাতুন্দী, শ্রীপুর, মাগুরা। প্রথম বাঙ্গালী মুসলমান অভিনেত্রী।২. সন্ধ্যা রায় : সংগীত শিল্পী। বর্তমানে ভারত প্রবাসী।
৩. ছবি বিশ্বাস : পূর্ব শ্রীকোল, শ্রীপুর, মাগুরা। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা।
৪. উস্তাদ মুন্সী রইস উদ্দিন : নাকোল, শ্রীপুর, মাগুরা। উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী।
৫. হাফিজুর রহমান : বালিয়া ডাঙ্গা, মহম্মদপুর, মাগুরা। কন্ঠশিল্পী, সুরকার ও গিিতকার। বাংলাদেশ বেতার ও টিভির নিয়মিত শিল্পী।
৬. শহিদুল আলম সাচ্চু : মাগুরা সদর, মাগুরা। বিশিষ্ট টিভি ও চলচিত্র অভিনেতা।
৭. বিমল বিশ্বাস : বিটিভি ও বেতারের নিয়মিত শিল্পী। মাগুরা সদর।
৮. অমলা শংকর : নৃত্য শিল্পী
৯. সুচিত্রা সেন : মাতুলালয়। শত্রুজিৎ, মাগুরা সদর। বাংলা ছবির কিংবদন্তি নায়িকা।
১০. শর্মিলা ঠাকুর : মহম্মদপুর, মাগুরা। বর্তমানে ভারত প্রবাসী।
১১. আবু জাফর : তাঁতিপাড়া। মাগুরা সদর। বিটিভি ও বেতারের নিয়মিত শিল্পী।
১২. অনিল হাজারিকা : সিংড়া, শালিখা, মাগুরা। খুলনা বেতারের আঞ্চলিক গানের নিয়মিত শিল্পী।
১৩. আব্দুর রাজ্জাক : গীতিকার ও কবি। কুশখালী, শালিখা।
ইসলাম প্রচারে মাগুরা
১. সুফী সদরুদ্দিন : গঙ্গারামপুর, শালিখা, মাগুরা। সুফী বহু গ্রন্থ প্রনেতা। ২. মওলানা শাহ সুফী তোয়াজ উদ্দীন আহমেদ : পীর সাহেব, দ্বারিয়াপুর, শ্রীপুর, মাগুরা।
৩. মা্‌ওলানা আজিজুর রহমান যশোরী : বালিয়াডাঙ্গা, মহম্মদপুর, মাগুরা।
৪. মৌলানা মোফাজ্জেল হোসাইন যশোরী : (হাসান যশোরী) উমান্ন নগর, মাগুরা।
৫. পানী ঘাটার পীর পরিবার।
৬. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের : পীর সাহেব কুশখালী, শালিখা মাগুরা।
৭. খোন্দকার আবুল কায়ের যশোরী : পাটোখালী, মাগুরা সদর। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবীদ ও গবেষক।
৮. আলোকদীয়ার পীর পরিবার।
ক্রীড়া ক্ষেত্রে মাগুরা
১. জনাব কাজী সাউফুজ্জামান : সাবেক প্রখ্যাত ক্রিড়া ব্যক্তিত্ব ও ফুটবলার। বেরইল, মাগুরা সদর।
২. জনাব সৈয়দ নাজমুল হাসান (লোভন) : সাবেক জাতীয় ফুটবলার। পাটোখালী, সদর, মাগুরা।
৩. জনাব খবির হোসেন : সাবেক জাতীয় ফুটবলার। নিজনান্দুয়ালী, মাগুরা সদর।
৪. জনাব কাজী তরিকুজ্জামান : ফুটবলার। বেরইল, মাগুরা সদর।
৫. জনাব ময়েন উদ্দীন মোহন : সাবেক জাতীয় ফুটবলার। পারলা, সদর।
৬. জনাব টোকন : ফুটবলার। তালখড়ী, শালিখা।
৭. জনাব গোলাম মোস্তফা : ফুটবলা, সদর, মাগুরা।
৮. জনাব কানু দত্ত : ফুটবলার। সদর, মাগুরা।
৯. জনাব সোহরব হোসেন : সাবেক জাতীয় ফুটবলার। তালখড়ী, শালিখা।
১০. মোসাঃ রহিমা খাতুন : কৃতিত্ব- জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা এ্যাথলেটিকস্‌ প্রতিযোগিতায় ৩টি স্বর্ণপদক সহ বিশেষ পুরস্কার প্রাপ্ত : ছাত্রী- পুলুম  কাজী সালিমা হক গার্লস হাই স্কুল। বামনখালী, শালিখা, মাগুরা।
১১. মোসাঃ শাহিনারা খাতুন : কৃতিত্ব- জাতীয় স্কুল ও মাদ্ররাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় ১টি স্বর্ণ পদক অর্জন। ছাত্রী- পুলাম কাজী সালিমা হক গার্লস হাই স্কুল। পুলুম, শালিখা, মাগুরা।
১২) সাকিব আল-হাসান: স্বনাম ধন্য একজন ক্রিকেটার। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। তিনি বেশ কয়েক বছর যাবৎ বিশ্বের এক নম্বর অল রাউন্ডারের স্থান ধরে রেখেছিলেন।
সংসদ সদস্য ও সমাজ সেবক বৃন্দ
১. জনাব মৌলানা আব্দুল আওয়াল : (বেরইল, মাগুরা সদর) তিনি ১৯৪৬ সালে এম.এল.এ নির্বাচিত হন। ২. জনাব মশিউল আযম খান : সাবেক সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার। রায়গ্রাম, সদর, মাগুরা।
৩. জনাব সৈয়দ হাশেম আলী : সাবেক সংসদ সদস্য। রামপুর শালিখা, মাগুরা।
৪. জনাব আব্দুল শালেক : সাবেক মন্ত্রী। বলরামপুর, মহম্মদপুর, মাগুরা।
৫. জনাব সোহরাব হোসেন : সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী। ভায়না, মাগুরা সদর, মাগুরা।
৬. জনাব আতর আলী : সাবেক এম. এল. এ। মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও সমাজ সেবক। পাটোখালী, সদর, মাগুরা।
৭. জনাব এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান : সাবেক সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার। জোকা, মহম্মদপুর।
৮. জনাব মেজর জেনারেল অবঃ  এম. মজিদুল হক : সাবেক মন্ত্রী। মাগুরা সদর।
৯. জনাব আব্দুর রশীদ বিশ্বাস : সাবেক সংসদ সদস্য। মহম্মদপুর।
১০. জনাব মেজর জেনারেল অবঃ আব্দুল মতিন :  সাবেক সংসদ সদস্য, সোনাতুন্দী, শ্রীপুর।
১১. জনাব, এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী : সাবেক মন্ত্রী, মহম্মদপুর মাগুরা।
১২. জনাব আলহাজ্ব কাজী সালিমুল হক (কামাল) : সাবেক সংসদ সদস্য। বামনখালী, শালিখা, মাগুরা জেলার অন্যতম প্রধান শিল্পপতি ও দানবীর।
১৩. জনাব ডাঃ প্রফেসর এম এস আকবর : সাবেক সংসদ সদস্য। হাজিপুর, মাগুরা সদর। শিশু বিশেষজ্ঞ।
১৪. শ্রী এ্যাড. বীরেন শিকদার : ড.শ্রী বীরেন শিকদার যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী, মাগুরা।
১৫. অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব।
১৬. জনাব আতিয়ার রহমান নান্নু মিয়া : বেরইল, সদর। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা।
১৭. জনাব শহীদ খন্দকার আব্দুল মোতালেব : পুলুম, শালিখা, মাগুরা। বিশিষ্ট দানবীর ও পুলুম গোলাম সারোয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা।
১৮. জনাব কাজী আকরামুল হক : সাবেক সচিব, পি.আই.ডি.সি। বামন খালী, শালিখা, মাগুরা। স্কুল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা।
১৯. জনাব মৌলানা আফসার উদ্দনি : সমাজ সেবক ও স্কুল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। মাগুরা সদর।
২০. জনাব সাজ্জাদুর রহমান তরফদার : সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সমাজ সেবক। কাতলী, শালিখা, মাগুরা।
২১. জনাব আলহাজ্ব মোঃ হারুনুর রশীদ : বিশিষ্ট সমাজ সেবক এবং ব্যবসায়ী। সহ-সভাপতি বাংলাদেশ কেমিস্ট এ্যান্ড ড্রাগিষ্ট এ্যাসোসিয়েশন, সভাপতি, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, রাজশাহী শাখা, ডাইরেক্টর রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, রাজশাহী।
২২. জনাব কাজী আবু ইউসুফ : সমাজ সেবক ও বিভিন্ন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা, হরিশপুর, শালিখাম মাগুরা।
২৩. জনাব কাজী আজহারুল হক : বিশিষ্ট দানবীল ও সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী। বামনখালী, শালিখা মাগুরা।
২৪. জনাব, মোঃ এলাহী বখশ মোল্ল্যা : উদ্দ্যোক্তা বহু মাদ্রাসা, ঈদগাহ, কলেজ। বামনখালী, শালিখা, মাগুরা।
২৫. জনাব আমজাদ হোসেন : বুনাগাতী আমজাদিয়া স্কুল, আড়পাড়া স্কুল, সাবেক খাটর হাইস্কুল এর উদ্দ্যোক্তা। সাবেক খাটর শালিখা, মাগুরা।
২৬. জনাব কাজী আল হাজ্ব কামরুজ্জামান : অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ, যশোর এম এম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, বেরোল কলেজ ও একটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা ও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও মক্তবে অর্থ সাহায্য করেছেন। মাগুরা সদর।
২৭. জনাব মুনসুর ডাক্তার : ব্রিটিশ ভারতে মাগুরার একমাত্র মুসলমান এ্যালোপ্যাথি এল.এম. এফ সরকারী ডাক্তার, বেলনগর, মাগুরা সদর।
২৮. জনাব ডাক্তার মোকাদ্দেস হোসেন : মাগুরার শহীদ সরওয়ার্দী কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, আজীবন কলেজের ডাক্তার হিসাবে সদস্য। ঋণ সালিশী বোর্ডের সদস্য, জুরী প্রভৃতি সম্মানিত পদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, বেলনগর, মাগুরা সদর।
২৯. জনাব, অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান : জন্মসূত্রে নোয়াখালীর অধিবাসী হলেও সারাজীবন তিনি মাগুরায় অতিবাহিত করেন এবং মাগুরাতেই মৃত্যু বরণ করেন। তিনি মাগুরা শহীদ সরওয়াদী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। কলেজের প্রবেশ পথেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
৩০. এ.এন. কামাল উদ্দিন মোস্তফা : সাবেক প্রদান প্রকৌশলী, গৃহায়ন ও গণপূত্র মন্ত্রণালয়। বিশিষ্ট সমাজ সেবক, উদীয়মান রাজনীতিবিদ এবং দ্বারিয়াপুর কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। দ্বারিয়াপুর, শ্রীপুর, মাগুরা।
৩১. মোঃ খলিলুর রহমান : সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, গৃহায়ন ও গণপূত্র মন্ত্রণালয় বিশিষ্ট সমাজ সেবক। আকসি, সদর, মাগুরা।
৩২. মোহাম্মদ আক্কাস আলী : বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজ সেবক, এবং উদিয়মান রানজীতিবিদ। বালিদিয়া, মহম্মদপুর, মাগুরা।
৩৩. কোঃ সাহেব আলী : এ.ডি.আইজি অবঃ এবং মাগুরা সমিতি রাঃ বিঃ এর সাবেক উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য। শ্রীপুর, মাগুরা।
৩৪. মিয়া আবুল হোসেন : এ.ডি.আই.জি অবঃ এবং মাগুরা সমিতি রাঃ বিঃ এর সাবেক উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য। শ্রীপুর, মাগুরা।
৩৫. সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম : ডিআই.জি অবঃ এবং মাগুরা সমিতি, রাঃ বিঃ এর সাবেক  উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য। আলোকদিয়া, মহম্মদপুর, মাগুরা।
৩৬. মোঃ আমিনুল ইসলাম : এ আই, ডি। বিনোদপুর, মহম্মদপুর, মাগুরা।
৩৭. মোঃ মফিজ উদ্দীন : কমলাপুর, শ্রীপুর, মাগুরা। এ.এস.পি এবং মাগুরা সমিতি রাঃ বিঃ এর সাবেক উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য।
প্রশাসনিক অঙ্গনে মাগুরা জেলার কৃতি সন্তান
সিভিল প্রশাসন
১। মরহুম ডঃ এস.এ খালেক : সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। গ্রাম – কুছুন্দি, থানা- মাগুরা।২। মরহুম ড. মোঃ ইউসুফ আলী : সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। টুপিপাড়া, শ্রীপুর।
৩। প্রকৌশল জনাব মোঃ খলিলুর রহমান : প্রধান প্রকৌশলী, পূর্ত মন্ত্রণালয়। গ্রাম- আকছি, থানা- মাগুরা।  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
৪। আলহাজ্ব ডাঃ আবুল কাসেম জোয়ারদার : অতিরিক্ত সচিব, সারঙ্গদিয়া, শ্রীপুর, মাগুরা।
৫। মোঃ সাইফুল হাসিব : আতিরিক্ত সচিব, শালিখা, মাগুরা।
৬। মোঃ আবুল কালাম আজাদ : অতিরিক্ত সচিব, শালিখা, মাগুরা।
৭। জনাব আলী করিম : যুদ্ম সচিব, গ্রাম- হরেকৃষ্ণপুর, থানা- মোঃপুর।
৮। জনাব তেছেম আলী : যুদ্ম সচিব, গ্রাম- বারাশিয়া, থানা- মাগুরা।
৯। জনাব টি মোল্লা : অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ বিভাগ
১০। জনাব মাসরুর উল হক সিদ্দিকী (কমল সিদ্দিকী) : সদস্য পানি উন্নয়ন বোর্ড, মাগুরা সদর।
১১।  জনাব এ, এন, কামাল উদ্দীন মোস্তফা : প্রধান প্রকৌশলী, পূর্ত মন্ত্রনালয়, দ্বারিয়াপুর, শ্রীপুর।
১২। জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম : অতিরিক্ত সচিব, থানা – মোহাম্মদপুর।
১৩। জনাব ডাঃ চৌধূরী ওয়াহিদুর রউফ :  অতিরিক্ত মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বরিশাট, শ্রীপুর।
১২।  জনাব মোসলেম আলী : যুগ্ম সচিব, বাংলাদেশ সরকার।
সেনাবাহিনী
১। মেজর জেনারেল (অবঃ) এম মজিদ উল হক : প্রাক্তন মন্ত্রী, মাগুরা শহর। ২। মেজর জেনারেল (অবঃ) এম এ,মতিন : সাবেক এম পি, তারাউজাইল, শ্রীপুর।
৩।  মেজর জেনারেল এ টি এম আব্দুল ওহাব : টুটি পাড়া, শ্রীপুর।
৪।  ব্রিগডিয়ার জেনারেল(অবঃ) এম, আর, খান : কমলাপুর, শ্র্রীপুর।
৫।  ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জনাব শাহেদ কামাল(অবঃ) : ফুলবাড়ীয়া, মাগুরা।
পুলিশ বাহিনী
১। জনাব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম : ডি আই জি, খুলনা রেঞ্জ, আলোকিদিয়া, মাগুরা।
২। জনাব খোন্দকার সাহেব আলী : পুলিশ কমিশনার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, দোশতিনা, শ্রীপুর।
৩। রওশন আরা বেগম : আতিরিক্ত ডিআইজি, র‌্যাব, মাগুরা সদর।
রাজনৈতিক অঙ্গনে মাগুরার কৃতি  সন্তানবৃন্দ
১।  মরহুম মোঃ আব্দুল খালেক :  এম,এন,এ এবং মন্ত্রী, পাকিস্তান। ২। মরহুম মোঃ মশিউল আজম খান :এম,পি,এ এবং ডেপুটি  স্পীকার, পুর্ব পাকিস্তান  প্রাদেশিক  সরকার।
৩। মরহুম এ্যাডভোকেট মোঃ সোহরাব হোসেন : এম,এন,এ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ এবং সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
৪। মরহুম সৈয়দ মোঃ আতর আলী : এম,পি,এ, পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ।
৫। মরহুম মোঃ আছাদুজ্জামান :  এম,পি,এ, পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ। জাতীয় সংসদ সদস্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
৬। মরহুম আঃ রশীদ বিশ্বাস :  সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। খালিয়া, মোহাম্মদপুর।
৭। মেজর জেনারেল (অবঃ) মোঃ মজিদ উল হক : মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।
৮। সৈয়দ আলী আহসান : মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।
৯। নিতাই রায় চৌধূরী : উপদেষ্টা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। মোহাম্মদপুর।
১০। মেজর জেনারেল (অবঃ) এম, এ,মতিন : জাতীয় সংসদ সদস্য। শ্রীপুর।
১১। কাজী সলিমুল হক কামাল : জাতীয় সংসদ সদস্য। শালিখা।
১২। ডাঃ এম, এস, আকবর : জাতীয় সংসদ সদস্য। মাগুরা।
১৩। এ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার : জাতীয় সংসদ সদস্য। মোহাম্মদপুর।
শিক্ষাঙ্গন
১। সৈয়দ আলী আহসান : প্রাক্তন চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
২। ডঃ সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন : প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৩।  ডঃ সৈয়দ আলী আশরাফ : প্রফেসর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৪। ডঃ সৈয়দ আলী আফজাল : প্রফেসর প্রকৌশল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৫। ডঃ লুৎফর রহমান : এসোসিয়েট প্রফেসর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৬। ডঃ সৈয়দ আলী নকী : প্রফেসর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৭। ডঃ গোলাম রসুল, শ্রীপুর : পরিচালক, শিক্ষা বিভাগ।
৮। প্রফেসর ডঃ এম,এ জলিল : উপদেষ্টা, গণ শিক্ষা কার্যক্রম, শ্রীপুর।
৯। ডঃ জামান : অধ্যাপক, ঢাকা কলেজ. শ্রীপুর।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মাগুরা জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকজনঃ
১।  শহীদ মুকুল  – শ্রীপুর , মাগুরা।
২। শহীদ ইস্রাফীল- জোকা, শ্রীপুর, মাগুরা।
৩। শহীদ আহম্মদ –
৪। শহীদ মোহাম্মদ
৫। শহীদ আবুল হোসেন
খেতাব প্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা
১। জনাব মাসরুর-উল-হক সিদ্দিকী (কমল সিদ্দিকী)-বীর উত্তম  মাগুরা সদর।২। জনাব গোলাম ইয়াকুব-বীর প্রতীক, নারান্দিয়া, মোহাম্মদপুর মাগুরা।
৩। শহীদ মোতালেব-বীর বিক্রম, পূর্ব শিকোল, শ্রীপুর, মাগুরা।
৪। মেজর (অবঃ) সৈয়দ রফিকুল ইসলাম- বীর বিক্রম  বরিশাট, শ্রীপুর, মাগুরা।
৫। এ্যাডভোকেট জনাব নূরুল কাদির- মুজিব নগর সরকারের ভ্রাম্যমান রাষ্ট্রদূত, রাউতাড়া, মাগুরা।
শিক্ষাবিদ ডাক্তার বিজ্ঞানী ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ
১. ডঃ শফিউদ্দিন জোয়ার্দার-সারঙ্গদিয়া, শ্রীপুর, মাগুরা২. ডঃ মনিরুজ্জামান (পুতুল): মাগুরা সদর, মাগুরা।
৩. ডঃ প্রশান্ত কুমার শাহা-বরিশাট, মাগুরা
৪. ডঃ জামান– বরালিদাহ, শ্রীপুর, মাগুরা
৫. শহীদ অধ্যাপক মনিরুজ্জামান- আমতৈল, মাগুরা
৬. মোঃ দিদার ইসলাম – পিতা-আমিরুল ইসলাম
হাজীপুর, মাগুরা, কুইক রেডিও আবিষ্কারক।
৭. এস এম আকাশ – সাংবাদিক, আরটিভি, শ্রীপুর, মাগুরা
৮. ডঃ সৈয়দ আলী আফজাল – আলোকদিয়া, মাগুরা
৯. ডঃ শফিকুল ইসলাম – বরিশাট, মাগুরা।
১০. ডাঃ কাজী বিল্লুর রহমান- তখলপুর, শ্রীপুর, মাগুরা।
১১. অধ্যাপক ডাঃ এ, ফাত্তাহ – কুছুমদি, মাগুরা।
ক্রীড়াবিদ
১. জনাব মোঃ খবির উদ্দিন- মাগুরা সদর, মাগুরা  (ফুটবল)
২. জনাব নাজমুল হাসান (লোভন) মাগুরা সদর, মাগুরা  (ফুটবল)
৩. জনাব গোলাম মোস্তফা- মাগুরা সদর, মাগুরা   (ফুটবল)
৪. জনাব কানু দত্ত…………………………..   (ফুটবল)
আধ্যাত্নিক সাধক ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব
১. ওলীয়ে কামেল পীর সাহেব কেবলা দ্বারিয়াপুর, আলহাজ্ব মাওলানা শাহসূফী তোয়াজ উদ্দীন আহমেদ, দ্বারিয়াপুর, শ্রীপুর।২. কুতুবুল আলম গরীব শাহ দেওয়ান- তারাউজাইল, শ্রীপুর, মাগুরা।
৩. রাজা সীতারাম রায়- মোহাম্মদপুর, মাগুরা- মাগুরার স্বাধীন নৃপতি।
রাজা সীতারাম রায় ছিলেন একজন ক্ষত্রিয়। বাবা উদয়নারায়ন ছিলেন ভূষনার ফৌজদারের একজন তহশীলদার। রাজা সীতারাম রায়ের অসংখ্য কীর্তির ধ্বংসাবশেষ মোহাম্মদপুর ও তার পার্শবর্তী এলাকায় আজও বিদ্যমান।
স্থানীয় জন সাধারনের জন্য পানি সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি অনেক দিঘী খনন করেন,ডার কিছু কিছু জলাশয় এখনও বিদ্যমান। এগুলির মধ্যে রামসাগর, সুন সাগর, কৃষ্ণসাগর, পদ্ম পুকুর ইত্যাদি বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য।

Friday, 12 August 2016

‘মাগুরা’ কিভাবে উৎপত্তি ? – জেনেনিন ঐতিহাসিক ৭ মতবাদ. নামকরন

‘মাগুরা’ কিভাবে উৎপত্তি ? – জেনেনিন ঐতিহাসিক ৭ মতবাদ. নামকরন


আমরা মাগুরাবাসি, আর গর্ব করার জন্য ‘মাগুরা’ নামটাই যথেষ্ট, প্রয়োজন নেই কোনও গৌরচন্দ্রিকার। ‘মাগুরা’ নামকরণ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে। এই নামকরন নিয়ে ভ্রান্তি নিরসনে প্রচলিত তথ্যগুলো নিয়ে হাজির মাগুরা নিউজ। জানুন মাগুরা নামকরন নিয়ে ঐতিহাসিক ৭ মতবাদ।
-অন্যতম প্রচলিত যে, মাগুরার খাল বিলে এক কালে প্রচুর মাগুর মাছ পাওয়া যেত। আর সেই মাগুর মাছের  প্রসিদ্ধি থেকে ‘‘মাগুরা’’ নামকরণ হয়েছে।প্রচলিত আছে মাগুরার নামকরণ করা হয় মুঘল যুগে।
-‘‘ খুলনা  শহরের আদিপর্ব’’ গ্রন্থের লেখক  ঐতিহাসিক আবুল কালাম সামসুদ্দিনের মতে, মরা গাঙ থেকে মাগুরা নামের উৎপত্তি। মরা গাঙ আঞ্চলিক ভাষায় মরগা বলে প্রচলিত।
– প্রচলিত আছে ধর্মদাস নামক জনৈক মগ জলদস্যু মাগুরার পার্শ্ববর্তী মধুমতি নদী সংলগ্ন এলাকায়  বসতি স্থাপন করে। মগদের অত্যাচারে এলাকার লোকজন  অতিষ্ট হয়ে পড়ে এবং তারা বিতাড়িত হয়।  সেই মগ ও মরগা থেকে ‘মাগুরা’ নামের উৎপত্তি।
-কিংবদন্তী থেকে জানা যায় এককালে সুন্দরবনের কাছাকাছি এই অঞ্চলে মগ জলদস্যুদের খুব উৎপাত ছিল। কুমার ও নবগঙ্গার তীরে অবস্থিত বর্তমান মাগুরা শহরে ছিল তাদের আখড়া। নদী পথে তারা বর্গীদের মতো দস্যুপনা করতো। তাদের নামেই মগরা থেকে মাগুরা হয়েছে।
-কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে মুঘল নবাব মুর্শিদকুলী খার আমলে মগদের অগ্রযাত্রাকে যেখানে প্রতিহত করে ঘুরিয়ে দেওয়া হত সেই স্থানটির নাম রাখা হত মগ-ঘুরা। মগ-ঘুরাই পরবর্তীতে মাগুরা হয়েছে। মাগুরা তথা যশোর ফরিদপুর এলাকায় মগ- দস্যুদের অত্যাচার ও লুষ্ঠনের কাহিনী আজও ইতিহাসের এক বেদনাময় অধ্যায়। ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে’ প্রচলিত এই ছড়াটিও সে সময়ের প্রকৃত চিত্রই তুলে ধরেছে।
– ঐতিহাসিকদের কারো মতে, মাগুরা প্রাচীন আমলের একটি গ্রাম। মাগুরা দু’টি অংশে বিভক্ত ছিল। মহকুমা সদরের পূর্বে মাগুরা ও পশ্চিমে ছিল দরি মাগুরা। দরি শব্দের অর্থ মাদুর বা সতরঞ্জি। দরি মাগুরায় মাদুর তৈরি সম্প্রদায়ের লোক বাস করতো বলে নাম হয়েছিল দরি মাগুরা।
– ধর্মদাস নামে জনৈক মগ আরাকান খেকে এসে আগুরা শহরের পূর্ভ কোণের সোজাসুজি গড়াই নদীর তীরে খুলুমবাড়ি মৌজা প্রভুতি দখল করে। লোকে তাকে মগ জায়গীর বলে আখ্যায়িত করেছিল। অনেকের মতে মগরা থেকে মাগুরা নামের উৎপত্তি।